যে গল্প মেয়েটি লিখেছিল পৃথিবীর নিকৃষ্টতম অন্ধকার রাতে

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

অনইক আহমেদ
  • ১৯
  • ৫৭
শোন মেয়ে,
তোমার ভাঙা হৃদয়ের গোপন গল্পটা আমি জানি,যে গল্প তুমি লিখেছিলে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম অন্ধকার রাতে।আমি জানি সেই অব্যক্ত রাতের কথা,যে রাতে তুমি কেঁদেছিলে ভর্য়ার্ত হরিণ শাবকের মত।

সেই রাত,যে রাতে তুমি দুঃস্বপ্নের অত্যাচারে চিৎকার করে জেগে উঠেছিলে,জুবুথুবু হয়ে লুটিয়ে পরেছিলে নিষ্প্রাণ মেঝেতে।

সেই রাত,যে রাতে তুমি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল,হয়ে যেতে চেয়েছিল হিংস্র শকুন,আর খেয়ে ফেলতে চেয়েছিলে তোমার থকথকে মস্তিষ্ক।নখের আঁচড়ে ক্ষত বিক্ষত করে দিতে চেয়েছিলে তোমার নিস্প্রাণ দেহটাকে।তুমি চেয়েছিলে তোমার অস্তিস্ত নিশ্চুপে বিলীন হোক বিষণ্ণ রাতের আধারে।

আমি জানি মেয়ে,
আমাকে না পাওয়ার যন্ত্রণা তোমাকে যেন ভেঙ্গেচুরে দিচ্ছিল বুলডোজারের মরণ আঘাতে মত।তুমি কংক্রিটের মেঝেতে বারংবার শুধু লুটিয়ে পড়ছিলে,
যেন তোমার ভেতর জন্ম নিয়েছে হিস্টোরিয়ায় আক্রান্ত কোন রোগীর প্রেতাত্মা।আমার আবছা অবয়ব তোমার ঝাপসা চোখে ভাসছিল,আর তোমার চোখের পাতা নষ্ট হওয়া টিউবলাইটের মত নিভু নিভু জ্বলছিল।

অন্ধকারের গলা চেপে ধরে তুমি চিৎকার করে ডাকতে চাইছিলে আমাকে,কিন্তু তোমার ঠোঁট, জ্বিহ্বা কাঁপছিল ভূমিকম্পের কম্পনের মত,তোমার বাকযন্ত্রের উপর যেন চেপে বসেছিল বাষট্টি কেজি ওজনের দানবীয় পাথর।

তুমি ডাকতে পারনি আমাকে, মনে মনে তাই শুধু আমার নামটাই জপ করছিলে বারংবার,যেন আমিই তোমার ঈশ্বর।শুধু আমিই যেন পারি তোমাকে উদ্ধার করতে এই শ্বাসরুদ্ধকর যন্ত্রণা থেকে!

কিভাবে কিভাবে যেন আমি শুনতে পাচ্ছিলাম তোমার তীক্ষ্ণ চিৎকারের শব্দ।মনে হচ্ছিল তোমাকে হয়তো তাড়া করে বেড়াচ্ছে হিংস্র বুনো হায়েনার দল,তুমি পালিয়ে বাঁচার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছ কাঁটাঘেরা শ্বাপদসংকুল কোন অরণ্যে,আর দূর থেকে ভেসে আসছে তোমার চাপা গোঙ্গানির মত আর্তনাদ।

আমি নিজেকে থামাতে পারছিলাম না,দমন করতে পারছিলাম না নিজেকে,
ইচ্ছে করছিল তোমার কাছে ছুটে যাই,ছুটে গিয়ে তোমাকে কোলে তুলে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি ইতিহাসের বুকে,তারপর মহাকালকে সাক্ষি রেখে সেখানে বিদ্ধ করে দেই ৬৬৬ টি ক্রুশ,যাতে অন্ধকারকে জয় করে ছিনিয়ে আনতে পারি আলোর অঙ্গীকার।

কিন্তু কিভাবে যাই বলো?মহাকাল যে তোমার আমার মাঝে দেয়াল তৈরী করে দিয়েছে!এই দেয়াল ভেঙ্গে তোমার কাছে ছুটে যাওয়ার সাধ্য আমার নেই,
কে জানে এই দেয়াল ছিন্ন করার ক্ষমতা হয়তো স্বয়ং ঈশ্বরেরও নেই!

ক্ষমা করো আমাকে,ক্ষমা করো মেয়ে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুন ম. আজিজ আমি বিমুগ্ধ হয়েছি......প্রেমে পরাজিত মানুষের জন্য এর চেযে উন্নত কবিতা আর হয় না
আমি এরকম প্রশংসার যোগ্য কিনা,জানিনা। ধন্যবাদ ভাই!
Tumpa Broken Angel আমার কাছে অসাধারণ লাগল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)
মিলন বনিক সুন্দর লেখনী...খুব ভালো লাগল....
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)
তানি হক হ্যা হয়ত এমনটাই ... কিছু কিছু সত্য ও বাস্তবতা আছে যা ...মেনে নিতেই ..হয় ..মেনে নিয়েই বাচতে হয় .. ধন্যবাদ আপনাকে ..এই সুন্দর কবিতাটির জন্য
হুম,বাস্তবতা অনেক কঠিন।আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
এফ, আই , জুয়েল # ভাবনাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিতে কবিতা বেশ বড় হলেও----এর অন্তর্নিহিত ভাবটা বেশ গভীর ।
লিখার সময় চরিত্রে ঢুকে গিয়েছিলাম,কষ্ট লাগছিল খুব।মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই
কনিকা রহমান খুব ভাল লাগ্ল ... এক কথায় দারুন ...
রফিক আল জায়েদ সুন্দর লিখেছেন তো !!!
সূর্য দারুন, চমৎকার আবেদনময় কাব্য অনেক ভালো লাগলো।

০২ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪